পদ্মায় জেলের জালে আরও একজনের লাশ

রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের দুই নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলের অদূরে জেলের জালে আটকা পড়ে নিখোঁজ রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণার (১২) লাশ। পরে উদ্ধার কর্মীরা তার লাশ ওপরে নিয়ে আসে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে সাতজনে।

উদ্ধার স্বর্ণার বাবার নাম রবিউল ইসলাম রবি। তাদের বাড়ি পবায় উপজেলার আলীগঞ্জ মোল্লাপাড়া। স্বর্ণা কনে সুইটি খাতুন পুর্ণির ফুপাতো বোন।

দমকল বাহিনীর রাজশাহীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, এখনো কনে সুইটি খাতুন পুর্ণি (২০) ও তার খালা আাঁখি খাতুন (২৫) নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পদ্মায় মাছ ধরা জেলের জালে স্বর্ণার লাশ আটকা পড়ে। পরে জেলেরা উদ্ধার কর্মীদের জানায়।

তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টার দিকে অভিযান শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে তারা দ্বিতীয় নৌকার সন্ধ্যান পায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। অপর নৌকাটি শনিবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে।

নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, শনিবার ছয়জনের লাশ পরিবারের কাছে হ্স্তান্তর করা হয়। রাতে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে রাজশাহী শহরের শ্রীরামপুরের চরখিদিরপুরে মধ্যপদ্মায় ৩৬ যাত্রী নিয়ে দু’টি নৌকা ডুবে যায়। পরে দমকল, বিজিবি, নৌ পুলিশ ও বিআইডাব্লুটিএর ডুবুরি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন, কনের বড় বোন শাহীনুর বেগমের স্বামী রতন আলী (৩০), তাদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৫), চাচা শামীম হোসেন (৩৫), চাচি মিনা খাতুন (৩০), চাচাতো বোন রশ্নি (৭) ও খালাতো ভাই এখলাস আলী (২২)।

আপনি আরও পড়তে পারেন